আয়নামহল - পর্ব ০২
(১ম পর্বের পর...)
দিনটা ছিলো ৩০ অক্টোবর.
হ্যালোউইনের বাকি আর মাত্র এক দিন।
আমাদের টুয়েলভ এভিনিউর সবকটি পরিবারে উৎসবের তোড়জোড় লেগে গিয়েছে।
হ্যালোউইনের বাকি আর মাত্র এক দিন।
আমাদের টুয়েলভ এভিনিউর সবকটি পরিবারে উৎসবের তোড়জোড় লেগে গিয়েছে।
হ্যালোউইনের দিন কে কেমন সাজবে সেটা নিয়েই সবার আলাপ।
বাচ্চারা ব্যস্ত "Trick or Treat" নিয়ে...
বাচ্চারা ব্যস্ত "Trick or Treat" নিয়ে...
কিছুদিন যাবত রাকা অসুস্থ ছিলো।
আজ সকালে যখন রাকা বলেছিলো জলদি বাড়ি ফিরতে, বেশ খুশিই হয়েছিলাম। হয়ত আজ একটু সুস্থ লাগছে ওর।
আজ সকালে যখন রাকা বলেছিলো জলদি বাড়ি ফিরতে, বেশ খুশিই হয়েছিলাম। হয়ত আজ একটু সুস্থ লাগছে ওর।
পথে আসার সময় ১টা "জ্যাক-ও'-ল্যান্টার্ন" কিনলাম হ্যালোয়িনের দিন বাইরে ঝুলানোর জন্য। বাড়ির কেঁচি-গেইট খুলে প্রবেশ করব এমন সময় মনে হলো, আমাদের পিছনের বারান্দা থেকে ড্রামের সেই ধুপ ধুপ আওয়াজ আসছে।
অনেকদিন পর সেই আলমিরাটার কথা মনে পরলো। রাকা ভয় পাবে না তো? দৌড়ে গিয়ে মেইন দরজা খুললাম।
রাকাকে খুজে পাচ্ছিনা কোথাও! পাশের বাড়িতে খোঁজ নিলাম, সেখানেও নেই।
কি হচ্ছে বুঝতে না পেরে হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম। ওদিকে ধুপ ধুপ আওয়াজ হয়েই চলেছে। রাকার কিছু হয়নি তো!
কি হচ্ছে বুঝতে না পেরে হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম। ওদিকে ধুপ ধুপ আওয়াজ হয়েই চলেছে। রাকার কিছু হয়নি তো!
ব্যাপারটা আদৌ কি, আমার জানা দরকার। গেলাম ভিতরের রুমে যেখানে আলমিরাটা রাখা আছে। ধুপ ধুপ শব্দটা কাছেই মনে হচ্ছে। ভয় পাচ্ছি হালকা, তবু লাইট জ্বালিয়ে সাহস করে আয়না বরাবর রাখা পর্দাটা একটানে সরিয়ে দিলাম! যাইহোক, মনে মনে প্রস্তুত ছিলাম আজ..
- 'রাশেদ, তুমি কি করছো?'
আচমকা ডাকে হাত থেকে লাইটটা ফেলে দিলাম। রাকা কখন পিছনে এসে দাড়িয়েছে খেয়ালই করিনি।
- 'রাশেদ, তুমি ঠিক আছো তো!'
- 'রাকা তুমি!!,,
- 'কি হয়েছে? এমন লাগছে কেনো তোমাকে?'
- 'না,,,ঠিক আছি,,,তুমি কোথায় ছিলে এতক্ষণ?'
- 'কেনো? আজ না আমার ড. জোসেফের নিকট এপয়েন্টমেন্ট ছিলো! তোমাকে সকালে বললাম জলদি বাসায় ফিরতে, আসোনি। তাই ট্যাক্সি নিয়ে একাই চলে যাই'
- 'ও আচ্ছা মনে পড়েছে'
- 'রাকা তুমি!!,,
- 'কি হয়েছে? এমন লাগছে কেনো তোমাকে?'
- 'না,,,ঠিক আছি,,,তুমি কোথায় ছিলে এতক্ষণ?'
- 'কেনো? আজ না আমার ড. জোসেফের নিকট এপয়েন্টমেন্ট ছিলো! তোমাকে সকালে বললাম জলদি বাসায় ফিরতে, আসোনি। তাই ট্যাক্সি নিয়ে একাই চলে যাই'
- 'ও আচ্ছা মনে পড়েছে'
ইসস! আসলেই তো, কি ভুলোমনা আমি! খামাকা আমি চিন্তা করছিলাম।
- 'ড. কি বললেন?'
- 'উহহু বলব না,,,গ্যেজ করো তো!'
- 'উহহু বলব না,,,গ্যেজ করো তো!'
বাচ্চামেয়ের মত আঁদুরে গলায় বললো রাকা।
উত্তেজনায় ওর চোখ চিকচিক করছে। কি এমন নিউজ হতে পারে? আস্তে করে বুকে টেনে নিলাম ওকে।
উত্তেজনায় ওর চোখ চিকচিক করছে। কি এমন নিউজ হতে পারে? আস্তে করে বুকে টেনে নিলাম ওকে।
মুখের উপরে এসে পরা অবাধ্য চুলের গোছাটাকে সরিয়ে চোখের দিকে সরাসরি তাঁকালাম আমি,
- 'আমি বোকা, গ্যেজ করতে পারছিনা। তুমিই বলে দাও'
- 'ইশ! দুষ্টু ছেলেটা নাকি বোকা! ঘোড়ার ডিম একটা,,,
- 'বলোনা কি বলছে ডক্টর?'
- 'বুদ্ধু, তুমি বাপি হতে চলেছো,,,আর আমি মাম্মা!'
- 'সত্যি??'
- 'ইশ! দুষ্টু ছেলেটা নাকি বোকা! ঘোড়ার ডিম একটা,,,
- 'বলোনা কি বলছে ডক্টর?'
- 'বুদ্ধু, তুমি বাপি হতে চলেছো,,,আর আমি মাম্মা!'
- 'সত্যি??'
সেই মুহূর্তটা আজোও মনে আছে আমার!
.
.
হ্যালোউইনের সারপ্রাইজটা যে রাকা এভাবে দিবে আমি কল্পনাও করিনি।
খুব সুন্দর কিছু মূহুর্ত কেঁটেছিলো তখন আমাদের। একসাথে মুভি দেখা, হাত ধরে তুষারশুভ্র রাস্তায় হাটা, বিকালে পার্কে বসে লেকের জলে বুনোহাঁসের ডুবসাঁতার দেখা...সেবারের সবকিছু ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছুদিন!
.
.
হ্যালোউইনের সারপ্রাইজটা যে রাকা এভাবে দিবে আমি কল্পনাও করিনি।
খুব সুন্দর কিছু মূহুর্ত কেঁটেছিলো তখন আমাদের। একসাথে মুভি দেখা, হাত ধরে তুষারশুভ্র রাস্তায় হাটা, বিকালে পার্কে বসে লেকের জলে বুনোহাঁসের ডুবসাঁতার দেখা...সেবারের সবকিছু ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছুদিন!
আলমিরার ব্যাপারটা ভুলতে বসেছিলাম প্রায়। কিন্তু সেদিন সকালে হুট করেই বিভীষিকার মত ফিরে আসে ওটা আমাদের জীবনে।
ডিসেম্বর এর শেষের দিকের সকাল ৬টা ৩৫মিনিটে হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে যায়।
খেয়াল করি, রাকা নেই আমার পাশে। এত ভোরে উঠার কথা না ওর, তাছাড়া ও অসুস্থ।
খেয়াল করি, রাকা নেই আমার পাশে। এত ভোরে উঠার কথা না ওর, তাছাড়া ও অসুস্থ।
চোখ কচলে বিছানা থেকে নামবো সেই সময় ফোঁস করে জোরে শ্বাস ফেলার শব্দ, আর সাথে ধুপ ধুপ সেই পরিচিত ড্রামের শব্দ আসলো পিছনের বারান্দা থেকে।
ভিতরের রুম পেরিয়ে বারান্দার দিকে যাবো সেই সময় জিনিসটা দেখলাম, যা আজোও রাতে আমায় তাড়া করে ফেরে!
রান্নাঘরের দিকে মুখ দিয়ে মেঝেতে হাত পা ছড়িয়ে রাকা পড়ে আছে। ঠিক অপজিটে সেই আলমিরাটা।
আয়নার পর্দা খুলে ফেলা। সেখানে আয়নার ভিতরে ঐদিন রাতে দেখা যে জিনিসগুলো থাকার কথা ওগুলা ওখানে নেই।
আয়নার পর্দা খুলে ফেলা। সেখানে আয়নার ভিতরে ঐদিন রাতে দেখা যে জিনিসগুলো থাকার কথা ওগুলা ওখানে নেই।
ছোট ছোট জংলীসদৃশ জিনিসগুলো রাকার চারপাশে ঘিরে দাড়িয়ে আছে। উন্মত্তের মত ড্রাম বাজাচ্ছে একদল।
আর আরেকদল স্ট্র'র মত বস্তু দিয়ে রাকার দেহের চামড়ায় ফুটো টেনে টেনে রক্ত খেয়ে যাচ্ছে।
মেঝেতে কোথাও একফোঁটা রক্ত নেই। আর রাকার পুরো দেহ বুলেটের মত ঝাঁঝরা!
আর আরেকদল স্ট্র'র মত বস্তু দিয়ে রাকার দেহের চামড়ায় ফুটো টেনে টেনে রক্ত খেয়ে যাচ্ছে।
মেঝেতে কোথাও একফোঁটা রক্ত নেই। আর রাকার পুরো দেহ বুলেটের মত ঝাঁঝরা!
একপলকের ভিতর এতকিছু একসাথে দেখে আমি পাথরের মত জমে গিয়েছি।
কি করা উচিত আমার? চোখের সামনে যা ঘটছে তা বিশ্বাস করাও তো সুস্থ কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
কি করা উচিত আমার? চোখের সামনে যা ঘটছে তা বিশ্বাস করাও তো সুস্থ কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
আমার রাকা, আমার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী মৃতের মত পরে আছে আমারই সামনে। আর একদল আয়নাবাসী ছোট জীব চুষে খাচ্ছে তার রক্ত! আমি চিৎকার দিয়ে উঠি রাকা বলে। ড্রামের বাজনা থেমে যায়, একসাথে আমার দিকে ফিরে সবাই। তাদের উজ্জ্বল কমলা চোখের মণি দেখে কেমন ১টা ঘোরের মাঝে চলে যাই আমি!
তারপর আর মনে নেই...
তারপর আর মনে নেই...
... ... ...
ঘন্টা খানেক পর, পুলিশ এসে আমায় আঁটকে নিয়ে যায়।
আমার প্রতিবেশীরা স্বাক্ষ্য দেয়, "রাকার সাথে আমার মনোমালিন্য বহুদিনের।
পরকীয়ার সন্দেহে প্রায়ই নাকি রাকার সাথে ঝগড়া করতাম। কোন কারণে রাকা বাইরে গেলে, ক্ষ্যাপা কুকুরের মত খুঁজতাম ওকে। যখন রাকা প্রেগন্যান্ট হলো আর সহ্য করতে না পেরে নাকি এমন নৃশংসভাবে খুন করি আমি."
আমার প্রতিবেশীরা স্বাক্ষ্য দেয়, "রাকার সাথে আমার মনোমালিন্য বহুদিনের।
পরকীয়ার সন্দেহে প্রায়ই নাকি রাকার সাথে ঝগড়া করতাম। কোন কারণে রাকা বাইরে গেলে, ক্ষ্যাপা কুকুরের মত খুঁজতাম ওকে। যখন রাকা প্রেগন্যান্ট হলো আর সহ্য করতে না পেরে নাকি এমন নৃশংসভাবে খুন করি আমি."
আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি। অনেক খুঁজেছিলাম "মারিও ইভ" কে, কেননা তিনিই একমাত্র জীবিত মানুষ যিনি আমার বক্তব্যের পক্ষে স্বাক্ষ্য দিতে পারেন। কিন্তু পাইনি তাঁকে...
সে ঘটনার আজ প্রায় ৫ মাস পর, মারিও আসলেন জেলে আমার সাথে দেখা করতে।
তাই প্রথমে অবাক হই..এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি??
তাই প্রথমে অবাক হই..এতদিন কোথায় ছিলেন তিনি??
যাহোক, বলতে চেয়েছিলাম মারিও কি এমন কথা বলেছিলো যার জন্য আমি হতভম্ব হয়ে যাই।
মারিও আমাকে বললো,
- "কয়েদখানার ইনচার্জের স্ত্রীর নাম লিলিয়ান। আমার সাথে লিলিয়ানের পূর্ব পরিচিত ছিলো।
কিছুদিন আগে আমি লিলিয়ানের বাড়িতে যাই এবং সেখানে সেই আলমিরাটা দেখে অবাক হই।
আলমিরাটা কোথায় পেলো জিজ্ঞাস করতেই তোমার খবর পেলাম। লিলিয়ান জানালো, তুমি নাকি তোমার স্ত্রী কে খুন করেছো।
কিছুদিন আগে আমি লিলিয়ানের বাড়িতে যাই এবং সেখানে সেই আলমিরাটা দেখে অবাক হই।
আলমিরাটা কোথায় পেলো জিজ্ঞাস করতেই তোমার খবর পেলাম। লিলিয়ান জানালো, তুমি নাকি তোমার স্ত্রী কে খুন করেছো।
তো খুনের পর, মামলার খরচ চালানোর সময় তোমাদের সেই টুয়েলভ এভিনিউর ছোট ফ্ল্যাটের জিনিসপত্র নাকি নিলামে উঠে।
তখন সেই আলমিরাটা কিনে নেন, আমার এই পরিচিতা লিলিয়ান...
তখন সেই আলমিরাটা কিনে নেন, আমার এই পরিচিতা লিলিয়ান...
তখন আমি লিলিয়ানকে আলমিরার ঘটনাটা কথায় কথায় বলে দেই। এতে সে বেশ ভয় পেয়ে যায় এবং আলমিরাটা ফেলে দেয়"
- 'আপনি এই কথাই বলতে এতদিন পর আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন?'
- 'না আমি এটা বলতে আসিনি,,,আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, তুমি খুন করতে পারো! তাই এখানে এসেছি তোমার মুখ থেকে শুনতে আসলে কি হয়েছে?'
- 'না আমি এটা বলতে আসিনি,,,আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, তুমি খুন করতে পারো! তাই এখানে এসেছি তোমার মুখ থেকে শুনতে আসলে কি হয়েছে?'
তখন মারিওকে সব বললাম, যা যা আমি দেখেছি। সব শুনার পর মারিও বললেন,
- 'আমি কোর্টে তোমার হয়ে স্বাক্ষী দিবো,,চিন্তা করোনা তুমি'
- 'অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে'
- 'অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে'
এই বলে মারিওকে বিদায় দিয়ে নিজ সেলে ফিরে এলাম।
.
.
রাতে শুয়ে শুয়ে পুরো ব্যাপারটা ভাবতে লাগলাম শুরু থেকে।
আয়নামহলের ঐ জিনিসগুলা আসলে কি? কোত্থেকে এসেছে? আয়নার ভিতরেই বা থাকে কি করে?
.
.
রাতে শুয়ে শুয়ে পুরো ব্যাপারটা ভাবতে লাগলাম শুরু থেকে।
আয়নামহলের ঐ জিনিসগুলা আসলে কি? কোত্থেকে এসেছে? আয়নার ভিতরেই বা থাকে কি করে?
ভাবতে ভাবতে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যাই, সেই সময় চমকে উঠি আমি পরিচিত সেই ড্রামের শব্দে!
এই সেলের ভিতর কোথা হতে আসছে শব্দটা?
এই সেলের ভিতর কোথা হতে আসছে শব্দটা?
আশেপাশে তাকিয়ে শব্দের উৎস খুজতে লাগলাম। এমন সময় রাকার নিস্তেজ মৃতদেহটার দৃশ্য ভেসে উঠলো চোখে।
ক্রোধে দিশেহারা হয়ে উঠে বসলাম বিছানায়...
ক্রোধে দিশেহারা হয়ে উঠে বসলাম বিছানায়...
তারপর...তারপর আর কিছু মনে নেই আমার।
... ... ...
পরদিন সকালে সেলের ভিতর রাশেদের সেলমেট এন্টোনের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
একইরকম ভাবে খুন, ঠিক রাকার মত!
একইরকম ভাবে খুন, ঠিক রাকার মত!
রাশেদের কাহিনীর বাকিটুকু আমিই নাহয় বলি আপনাদের?
কি মনে হচ্ছে? কি ঘটছে এখানে?
কি মনে হচ্ছে? কি ঘটছে এখানে?
ভুতুড়ে এক আলমিরার আয়নামহলের কিছু অদ্ভুতুড়ে জীব খুন করেছে রাকা/এন্টোনকে?
...মোটেও না!
...মোটেও না!
উক্ত কাহিনিটা ছিলো তৎকালীন আমেরিকার চাঞ্চল্যকর দুই খুনের গল্প। সেসময়ের সবকটি টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকায় ঘটনাটা ফলাও করে ছাপা হয়..
"প্রথমে যখন রাকা খুন হয় তখন রাশেদকে জেলে পাঠানো হয়। সবাই ধরে নেয়, প্রতিবেশীর কথাই ঠিক। পারিবারিক কারণেই খুন হয়েছে রাকা।
কিন্তু ২য় বারের অর্থাৎ এন্টোনের খুনের সময় সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পরে কিভাবে খুনটা হয়!
সাইকিয়াট্রিস্ট ড. মিলান এই কেসের দায়িত্ব নেন।
তিনি জানান, রাশেদ একজন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি।
আমাদের দৃষ্টিতে যে রাকার খুন রাশেদ করেছে, রাশেদের কাছে তা মোটেও মনে হয়নি।
বরং খুনটাকে সে অন্যের উপর চাপানোর জন্য আয়নামহলের মত দারুন এক গল্প বানায়। কারণ, রাকাকে সত্যিই ভালোবাসতো রাশেদ!
আমাদের দৃষ্টিতে যে রাকার খুন রাশেদ করেছে, রাশেদের কাছে তা মোটেও মনে হয়নি।
বরং খুনটাকে সে অন্যের উপর চাপানোর জন্য আয়নামহলের মত দারুন এক গল্প বানায়। কারণ, রাকাকে সত্যিই ভালোবাসতো রাশেদ!
একসময় নিজের বানানো গল্পকে নিজেই বিশ্বাস করতে শুরু করে সে।
কল্পনায় জেলে বসেই কথা বলে তার তৈরিকৃত চরিত্র মারিও ইভের সাথে!
নিজের তৈরি কাহিনিতে সে এতই বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করে, অবচেতন মনে এন্টোনকে খুন করে সেই কাহিনিটাকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়..."
রাশেদ আপাতত এক মেন্টাল এসাইলামে আছে।
এখনও তার নিকট কেউ যদি তার গল্প শুনতে চায় সে সুস্থ মানুষের মতই আয়োজন করে তার আয়নামহলের গল্প শোনায়।
গল্পের শেষে সে এটাও বলে দেয়,
এখনও তার নিকট কেউ যদি তার গল্প শুনতে চায় সে সুস্থ মানুষের মতই আয়োজন করে তার আয়নামহলের গল্প শোনায়।
গল্পের শেষে সে এটাও বলে দেয়,
- 'আমি জানি মারিও ইভ আমার পক্ষে কোর্টে স্বাক্ষী দিবেন। খুব শিঘ্রই এখান থেকে বের হবো আমি...আর হ্যা, আপনি প্লিজ এখান থেকে যাওয়ার সময় কাইন্ডলি আশেপাশে খুঁজে দেখবেন, আলমিরাটা কোথায় আছে! আমি এখনও রোজ রাতে ধুপ ধুপ ড্রামের আওয়াজ পাই..."
... ... ...
পর্ব: সমাপ্তি পর্ব.
তারিখঃ ৫১০২/০২/৯২!
No comments